🇧🇩 নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার: ভারতীয় আধিপত্য ও বৈষম্যের অবসান চাই

বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল অন্যায়, বৈষম্য ও বিদেশী প্রভাবের বিরুদ্ধে। এই গণজাগরণের মূল আহ্বান ছিল — স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা।

বহু বছর ধরে বাংলাদেশে ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে। জনগণ এখন এসব প্রশ্নের জবাব চায়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন কখনোই ছিল না কারো হাতের পুতুল হওয়া। বরং এ দেশের জনগণ চায় একটি স্বনির্ভর, আত্মমর্যাদাশীল ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠতে।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের চেতনা খুবই পরিষ্কার —

👉 দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণে কোনো বিদেশী হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।

👉 মানুষের অধিকার রক্ষা, বৈষম্য ও নিপীড়ন দূরীকরণ হবে রাষ্ট্রের অন্যতম অঙ্গীকার।

👉 স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে সকল দল ও মতের মানুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণে একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠিত হবে।

এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হবার।

সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে —

✅ বাংলাদেশকে আবার মানুষের বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

✅ যেখানে কোনো বৈদেশিক আধিপত্য থাকবে না, থাকবে না অন্যায়ের প্রশ্রয়।

এই নতুন বাংলাদেশ শুধু রাজনৈতিক স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি হবে একটি জীবন্ত বাস্তবতা, যেখানে সব নাগরিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার লাভ করবে। একটি গণতান্ত্রিক, আধুনিক, আত্মনির্ভর রাষ্ট্র গঠনে আমাদের সবার অংশগ্রহণ এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।